brand
Home
>
Indonesia
>
Singosari Temple (Candi Singosari)

Singosari Temple (Candi Singosari)

Jawa Timur, Indonesia
Main image
Additional image 1
Additional image 2
See all photos

Overview

সিঙ্গোসারি মন্দির (কন্দি সিঙ্গোসারি) হল ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীক। এটি মালাং শহরের নিকটবর্তী অবস্থিত, এবং ১৩ শতকের শেষের দিকে নির্মিত হয়েছিল। সিঙ্গোসারি মন্দিরটি শৈলেন্দ্র ও মতরাম রাজবংশের সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন, যা প্রাচীন ইন্দোনেশিয়ার ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। মন্দিরটি স্থানীয় মানুষের জন্য একটি পুণ্যস্থান এবং পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
সিঙ্গোসারি মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী অসাধারণ এবং এটি প্রাচীন ইন্দোনেশিয়ার শিল্পের একটি চমৎকার উদাহরণ। মন্দিরটি মূলত পাথরের তৈরি, এবং এর নির্মাণ শৈলী বিশেষভাবে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব বহন করে। মন্দিরের সমগ্র কাঠামোটি সূক্ষ্ম খাঁজ কাটা এবং অলঙ্কৃত করা হয়েছে, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। মন্দিরের কেন্দ্রীয় স্তম্ভে একটি বিশাল মূর্তি রয়েছে, যা বৌদ্ধ ধর্মের দেবতা, তাথাগাতা গৌতম বুদ্ধের প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত সিঙ্গোসারি মন্দিরটি দর্শকদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রদান করে। মন্দিরের চারপাশে সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে, যা এখানে আসা পর্যটকদের জন্য একটি প্রশান্তির অনুভূতি তৈরি করে। স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই মন্দিরে আসলে মন্দিরের দেবতাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তাই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার সময়, স্থানীয় মানুষ এখানে সমবেত হয় এবং প্রার্থনা করে।
যারা সিঙ্গোসারি মন্দির পরিদর্শন করতে চান, তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। মন্দিরটি সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশের জন্য একটি ছোট ফি ধার্য করা হয়, যা মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। দর্শনার্থীদের জন্য স্থানীয় গাইডের সহায়তা নেওয়া উপকারী হতে পারে, কারণ তারা মন্দিরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে পারে।
সিঙ্গোসারি মন্দিরের নিকটবর্তী অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে মালাং শহর, টেমপাং টেঙগি জলপ্রপাত এবং বাটুরাজা পাহাড় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই স্থানগুলি একত্রে একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা বিদেশী পর্যটকদের জন্য একটি স্মরণীয় স্মৃতি হয়ে থাকবে। তাই, সিঙ্গোসারি মন্দিরে আসা মানে কেবল একটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করা নয়, বরং ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গভীরে প্রবেশ করা।