brand
Home
>
Indonesia
>
Great Mosque of Banjarmasin (Masjid Raya Sabilal Muhtadin)

Great Mosque of Banjarmasin (Masjid Raya Sabilal Muhtadin)

Kalimantan Selatan, Indonesia
Main image
Additional image 1
Additional image 2
See all photos

Overview

ব্যানজারমাসিনের মহান মসজিদ (মসজিদ রায়া সাবিলাল মুহ্তাদিন) হল ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ ক্যালিমান্তানে অবস্থিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। এটি স্থানীয় মুসলমানদের জন্য একটি প্রধান উপাসনালয় এবং শহরের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মসজিদটি 1981 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি তার সুন্দর স্থাপত্য ও বিশেষ সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।
মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এর প্রধান গম্বুজটি সবুজ রঙের, যা স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সাথে মিলে যায়। মসজিদটি 12,000 বর্গ মিটার এলাকায় বিস্তৃত, এবং এখানে একসাথে 10,000 মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদটির অভ্যন্তরীণ সজ্জা সুদৃশ্য এবং শান্তিপূর্ণ, যা দর্শকদের জন্য একটি পবিত্র অনুভূতি প্রদান করে।
ব্যানজারমাসিনে অবস্থান করলেই মসজিদটি ভ্রমণ করা এক অপরিহার্য অভিজ্ঞতা। মসজিদটির চারপাশের পরিবেশ শান্ত এবং সবুজ, যা দর্শকদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি আদর্শ স্থান। এখান থেকে শহরের বিভিন্ন দিক থেকে আসা মুসল্লিদের ভিড় দেখতে পাওয়া যায়, বিশেষ করে শুক্রবারের জামাতে।
মসজিদের অঙ্গন একটি প্রশস্ত স্থান, যেখানে পরিবার এবং বন্ধুরা একত্রিত হতে পারে। এখানে স্থানীয় বাজার এবং খাবারের স্টলও রয়েছে, যেখানে আপনি স্থানীয় খাবার ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। মসজিদটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, তাই শহরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলি যেমন সিটি হল এবং জলের বাজারও খুব কাছেই রয়েছে।
মসজিদটি সূর্যাস্তের সময় বিশেষভাবে সুন্দর দেখায়। গম্বুজের উপর সূর্যের আলো পড়লে এটি একটি সোনালী আভা ধারণ করে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি চিত্তাকর্ষক দৃশ্য। এখানে ছবি তোলা এবং স্থানীয় মানুষের সাথে আলাপচারিতা করার জন্যও অনেক সুযোগ রয়েছে।
সতর্কতা এবং পরামর্শ: মসজিদে প্রবেশের আগে অবশ্যই সঠিক পোশাক পরিধান করা উচিত, যেমন পুরুষদের জন্য লম্বা প্যান্ট এবং মহিলাদের জন্য হিজাব বা স্কার্ফ। এছাড়া, স্থানীয় রীতি ও ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া অতীব জরুরি।
মোটের উপর, মহান মসজিদ অফ ব্যানজারমাসিন একটি অসাধারণ স্থান, যা শুধু ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও পর্যটনমূলক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি বিশেষ আকর্ষণ। এটি ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও সমাজের একটি জীবন্ত নিদর্শন, যা ভ্রমণকারীদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।