Old City (Icherisheher) (İçərişəhər)
Overview
প্রবেশদ্বার: ইতিহাসের এক ঝলক
বাকুর পুরনো শহর, যা স্থানীয়ভাবে ইচেরিশেহের (İçərişəhər) নামে পরিচিত, এটি একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এই স্থানটি UNESCO-এর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এটি ১২ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তৈরি হয়েছে। ইচেরিশেহেরের রাস্তাগুলি পাথরের তৈরি, সংকীর্ণ এবং ঘনবসতিপূর্ণ, যা আপনাকে মধ্যযুগীয় যুগের অনুভূতি দিবে। এখানে প্রবেশ করলে আপনি একটি ভিন্ন জগতের মধ্যে প্রবেশ করছেন, যেখানে ইতিহাস এবং সংস্কৃতির মিলন ঘটেছে।
প্রধান আকর্ষণ: ময়দানি ও স্থাপত্য
ইচেরিশেহেরের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শিরভান শাহের প্রাসাদ, যা ১৫ শতকের একটি অনন্য স্থাপনা। এই প্রাসাদটি অত্যাশ্চর্য স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এবং এতে রয়েছে একটি মসজিদ, একটি গম্বুজ এবং একটি সমাধিক্ষেত্র। এছাড়া, প্রাসাদের আঙ্গিনায় প্রবেশ করে আপনি আশেপাশের চিত্রশিল্প এবং অলঙ্কার দেখতে পাবেন, যা প্রাচীন যুগের সংস্কৃতির পরিচয় দেয়।
একটি আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল মাওলানা নাগি মসজিদ, যা ইসলামিক স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ। এই মসজিদটি সম্প্রতি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে এবং এটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত। এখানকার শান্ত পরিবেশ আপনাকে একটি আলাদা অনুভূতি দেবে।
স্থানীয় বাজার ও সংস্কৃতি
ইচেরিশেহেরের অন্যতম আকর্ষণ হলো এর স্থানীয় বাজারগুলি, যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প, শাল, এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক উপহার কিনতে পারবেন। এখানে বিক্রেতারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য বিক্রি করেন, যা আপনার জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে।
এছাড়া, স্থানীয় খাদ্য সংস্কৃতির স্বাদ নিতে ভুলবেন না। এখানে প্রচুর রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে রয়েছে, যেখানে আপনি আযেরবাইজানের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন পলো এবং দোশবারা উপভোগ করতে পারবেন। খাবারের পাশাপাশি, স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে আপনি তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।
সফর করার সময়
ইচেরিশেহের ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হলো বসন্ত এবং শরতে, যখন আবহাওয়া খুব приятম এবং মনোরম থাকে। এখানে আসার জন্য আপনি শহরের অন্যান্য প্রধান স্থাপনা যেমন ফ্লেম টাওয়ার এবং নেতিভান্স্কি মনুমেন্ট ভ্রমণ করতে পারেন।
একটি কথা মনে রাখবেন, ইচেরিশেহেরের রাস্তাগুলি প্রায়শই উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং কিছুটা জটিল হতে পারে, তাই একটি স্থানীয় গাইডের সাহায্য নেওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। সর্বোপরি, ইচেরিশেহের একটি যাদুঘরের মতো, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবন একত্রিত হয়েছে।