Bhaktapur Durbar Square (भक्तपुर दरबार क्षेत्र)
Overview
ভক্তপুর দরবার স্কয়ার (ভক্তপুর দরবার ক্ষেত্র) নেপালের কাঠমান্ডুর একটি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যা UNESCO-এর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এই স্থানটি ভক্তপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এটি নেপালের মৈত্রী শিল্প, স্থাপত্য এবং ইতিহাসের একটি জীবন্ত উদাহরণ। ভক্তপুর শহর মূলত ১২শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি নেপালের তিনটি প্রধান শহরের মধ্যে একটি, অন্য দুটি হল কাঠমান্ডু এবং ললিতপুর।
দরবার স্কয়ারের স্থাপত্য অত্যন্ত সুন্দর ও বৈচিত্র্যময়। এখানে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন মন্দির, রাজপ্রাসাদ এবং ঐতিহাসিক ভবন। বিশেষ করে ফিফ্টি টেম্পল, যেখানে ৫৫টি জানালার একটি রাজপ্রাসাদ রয়েছে, এটি ভক্তপুরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এই প্রাসাদটি মৈত্রী স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ এবং এর খোদাই করা কাঠের কাজ সত্যিই মুগ্ধকর। এছাড়াও, নিক্কু মন্দির এবং ভক্তপুরের ভদ্রকালী মন্দির এখানে দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয়।
ভক্তপুরের সাংস্কৃতিক গুরুত্বও অনেক। এখানে নানা ধরনের উৎসব এবং মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা স্থানীয় জনগণের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। পাঁচ দিনব্যাপী ভক্তপুরের মহাকালী পূজা এবং বিস্কেট জাত্রা এই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। এইসব উৎসবের সময়, শহরটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকদের জন্যও একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
দরবার স্কয়ার ভ্রমণের সময়, স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া উচিত। দহি-জানো, একটি স্থানীয় দই এবং মোমো, যা নেপালের জনপ্রিয় মাংসের স্টাফ করা নুডলস, স্থানীয় রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়। এই খাবারগুলি আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরো স্মরণীয় করে তুলবে।
কিভাবে পৌঁছাবেন তা জানতে চাইলে, ভক্তপুর দরবার স্কয়ার কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১৩ কিমি দূরে অবস্থিত। আপনি ট্যাক্সি, বাস বা বাইক ভাড়া করে সহজেই সেখানে পৌঁছাতে পারবেন। ভক্তপুরে প্রবেশের জন্য একটি ছোট ফি লাগে, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ভক্তপুর দরবার স্কয়ার ভ্রমণ একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা, যেখানে আপনি নেপালের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্থাপত্যের এক অনন্য মিশ্রণ দেখতে পাবেন। এটি আপনার নেপাল ভ্রমণের একটি অপরিহার্য অংশ।