brand
Home
>
Foods
>
Bakewell Tart

Bakewell Tart

Food Image
Food Image

বেকওয়েল টার্ট একটি ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ মিষ্টান্ন, যা মূলত ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ার অঞ্চলের একটি শহর, বেকওয়েল থেকে এসেছে। এই টার্টটির ইতিহাস প্রায় ১৮ শতক থেকে শুরু হয়, যখন এটি প্রথমে "বেকওয়েল পুডিং" নামে পরিচিত ছিল। স্থানীয় একটি হোটেল, "দ্য কুইনস আর্মস", এই পুডিংয়ের সৃষ্টির দাবি করে। গল্প অনুযায়ী, একটি ভুলবশত ব্যাচ তৈরি হলে এটি সৃষ্টি হয়েছিল, এবং তারপর থেকে এটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এই পুডিংটি টার্টে রূপান্তরিত হয় এবং বেকওয়েল টার্ট নামে পরিচিত হয়। বেকওয়েল টার্টের স্বাদ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি। এর মধ্যে রয়েছে বাদামের গন্ধ এবং মিষ্টি জাম, যা একসাথে একটি অনন্য স্বাদ তৈরি করে। সাধারণত টার্টটির উপর একটি মিষ্টি আমন্ডের মিশ্রণ থাকে, যা টার্টকে একটি ক্রিমি এবং বাদামী টেক্সচার দেয়। টার্টটি সাধারণত চা বা কফির সাথে পরিবেশন করা হয় এবং এটি বিশেষ করে বিকেলের নাস্তা হিসেবে জনপ্রিয়। বেকওয়েল টার্ট প্রস্তুত করতে কিছু মূল উপকরণ লাগে। প্রথমত, টার্টের ব্যাস তৈরি করতে ময়দা, মাখন, চিনি এবং জল ব্যবহার করা হয়। এই উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি নরম পেস্ট তৈরি করা হয়। তারপর এই পেস্টটি টার্ট প্যানে ছড়িয়ে দেয়া হয়। পরবর্তী ধাপে, টার্টের উপর একটি স্তর জাম বা জেলি লাগানো হয়, যা সাধারণত রাস্পবেরি বা স্ট্রবেরি জাম হয়ে থাকে। এর পর, একটি আমন্ডের মিশ্রণ তৈরি করা হয়, যা মাখন, চিনি, ডিম এবং গুঁড়ো আমন্ড দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এটি টার্টের উপরে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বেকওয়েল টার্ট সাধারণত একটি সোনালী বাদামী রঙের হয়ে ওঠে যখন এটি ওভেনে বেক করা হয়। পরিবেশন করার সময়, এটি প্রায়ই কিছু পাউডারড শুগার দিয়ে সাজানো হয় এবং মাঝে মাঝে একটি চেরি দিয়ে টপিং করা হয়। এই টার্টটি কেবল স্বাদে নয়, বরং দেখতেও অত্যন্ত আকর্ষণীয়, যা এটিকে যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য একটি আদর্শ মিষ্টান্ন করে তোলে। এই মিষ্টান্নটির জনপ্রিয়তা এখন একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এটি একটি ব্রিটিশ খাদ্য সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

How It Became This Dish

বেকওয়েল টার্ট: একটি ইতিহাস বেকওয়েল টার্ট একটি ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ মিষ্টি যা ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের বেকওয়েল শহর থেকে উদ্ভূত। এটি একটি দারুণ মিষ্টির রেসিপি, যা জ্যাম, আমন্ড পেস্ট এবং মিষ্টি পেস্ট্রি দিয়ে তৈরি হয়। এই মিষ্টির ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলে, এটি একটি আকর্ষণীয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের গল্প হয়ে ওঠে। উত্স বেকওয়েল টার্টের উৎপত্তি ১৮ শতকের শুরুতে, যদিও এর সঠিক উৎপত্তির তারিখ এবং স্থান নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। বেশ কয়েকটি গল্প প্রচলিত আছে, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি গল্প হলো, ১৮৩০-এর দশকে একটি কুকার ভুলক্রমে একটি মিষ্টান্ন তৈরির সময় জ্যাম এবং আমন্ড পেস্টের সাথে পেস্ট্রি মিশ্রিত করেছিলেন। এই ভুল থেকেই তৈরি হয়েছিল বেকওয়েল টার্ট। এর নামটি এসেছে বেকওয়েল শহর থেকে, যা ডার্বিশায়ারের একটি ছোট শহর। এই শহরটি তখন থেকেই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে শুরু করে এবং বেকওয়েল টার্ট স্থানীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। এই মিষ্টির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৯ শতকের প্রথমদিকে, যখন এটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি হতে শুরু করে। সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বেকওয়েল টার্ট শুধুমাত্র একটি মিষ্টি নয়, এটি ব্রিটিশ খাদ্য সংস্কৃতির একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি ইংল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং অনেকেই এটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং বিশেষ দিনে পরিবেশন করেন। ব্রিটিশ চায়ের সময় এটি একটি অপরিহার্য মিষ্টি হিসাবে গণ্য হয়। এটি সাধারণত চা বা কফির সাথে পরিবেশন করা হয় এবং এর আলাদা স্বাদের জন্য এটি সমাদৃত। বেকওয়েল টার্টের রেসিপিতে সাধারণত মিষ্টি পেস্ট্রি, জ্যাম (সাধারণত রাশুনের জ্যাম), আমন্ড পেস্ট এবং কখনও কখনও ডিমের ফেটানো মিশ্রণ থাকে। এর ওপর কিছু সময় বাদাম এবং চিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা এর স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বিকাশ বেকওয়েল টার্টের বিকাশকাল ছিল ১৯ শতকের মধ্যভাগ থেকে শুরু করে। এই সময়ে, বিভিন্ন রেসিপি এবং প্রস্তুতির পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছিল। বিভিন্ন উপাদান এবং স্বাদ যুক্ত করার মাধ্যমে এটি আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে। কিছু রেসিপিতে নারকেল, চকোলেট এবং ফলের টুকরোও যুক্ত করা হয়েছিল, যা টার্টের স্বাদকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। বেকওয়েল টার্টের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও কফিশপে পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, এটি ব্রিটিশ সংস্কৃতির একটি প্রতিনিধিত্বমূলক খাবার হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। অনেক বিদেশি দেশেও এটি পরিচিত, বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বাইরে বসবাসকারী ব্রিটিশ সম্প্রদায়ের মধ্যে। আধুনিক সময়ে বর্তমানে, বেকওয়েল টার্ট বিভিন্ন সংস্করণে পাওয়া যায়। অনেক প্যাস্ট্রি শেফ এবং বেকাররা তাদের নিজস্ব রেসিপি এবং স্টাইল তৈরি করছেন, যা এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিকে আধুনিক টুইস্ট দিচ্ছে। কিছু আধুনিক রেসিপিতে স্বাস্থ্যকর উপাদান যেমন আটা, বাদাম, বা কম চিনির ব্যবহার করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্য সচেতন খাদ্য প্রেমীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। বেকওয়েল টার্টের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর উপস্থাপন। অনেক বেকার এটি ফ্যান্সি ডেকোরেশন এবং সুন্দর প্লেটিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশন করেন, যা খাবারের সৌন্দর্য এবং স্বাদ উভয়কেই বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন ফ্লেভার এবং আকারে এটি তৈরি করা হচ্ছে, যা খাদ্যপ্রেমীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। উপসংহার বেকওয়েল টার্টের ইতিহাস এবং বিকাশের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে খাদ্য কেবল পুষ্টির জন্য নয়, বরং একটি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবেও কাজ করে। বেকওয়েল টার্ট ইংল্যান্ডের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি মিষ্টি নয়, বরং একটি ইতিহাস, একটি গল্প এবং একটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ। বেকওয়েল টার্টের স্বাদ এবং সৌন্দর্য আজও মানুষের কাছে আকর্ষণীয়। এটি ব্রিটিশ খাদ্য সংস্কৃতির একটি অঙ্গ, যা বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের মন জয় করে চলেছে। এটি প্রমাণ করে যে খাবার কেবল একটি প্রয়োজনীয়তা নয়, বরং এটি মানুষের জীবনকে আরও রঙিন এবং আনন্দময় করে তোলে।

You may like

Discover local flavors from United Kingdom