brand
Home
>
Thailand
>
Sukhothai
image-0
image-1
image-2
image-3

Sukhothai

Sukhothai, Thailand

Overview

সুখোথাই শহর থাইল্যান্ডের একটি ঐতিহাসিক স্থান, যা দেশটির প্রথম রাজধানী হিসেবে পরিচিত। এটি সুকোথাই প্রদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। সুখোথাইয়ের ইতিহাস 13শ শতাব্দীতে শুরু হয়, যখন এটি থাইল্যান্ডের প্রথম রাজ্যের রাজধানী ছিল। শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, যা এর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বকে নির্দেশ করে।

সুখোথাইয়ের ঐতিহাসিক উদ্যানে প্রবেশ করলে, পর্যটকরা বিস্ময়কর প্রাচীন মন্দির ও স্থাপত্য দেখতে পাবেন। এই উদ্যানে প্রায় 200টি প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ওয়াট মহাথাট, যা রাজা রামকামহেঙের সময় নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরটির বিশাল বুদ্ধের মূর্তি এবং তার চারপাশের নান্দনিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

স্থানীয় সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রাও অসাধারণ। সুখোথাইয়ের স্থানীয় বাজারগুলোতে গেলে আপনি সেখানে থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং হস্তশিল্প পেতে পারেন। স্থানীয় মিষ্টি যেমন সুকোথাই নুডলস এবং কাই ইয়েং চেখে দেখার সুযোগ মেলে। এখানকার মানুষজন অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অতিথিপরায়ণ, যা আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।

সুখোথাইয়ের অতmosphere খুবই শান্তিপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। শহরের চারপাশে সবুজ প্রকৃতি আর পাহাড়ের দৃশ্য আপনাকে প্রশান্তি দেবে। সন্ধ্যায় শহরের আলোয় মন্দিরগুলো আলোচিত হয়ে ওঠে এবং এটি একটি রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে।

সুখোথাইয়ের উৎসবগুলোও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে লয় ক্রাথংস উৎসব, যেখানে স্থানীয় মানুষরা নদীতে প্রার্থনা করে এবং আলোযুক্ত ক্রাথাং সামগ্রী জলরাশিতে ভাসায়। এই সময় শহরটি উজ্জ্বল আলো এবং আনন্দে পূর্ণ থাকে।

সুখোথাই শহর একটি অদ্ভুত মিশ্রণ, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একত্রিত হয়েছে। এটি একটি আদর্শ গন্তব্য বিদেশী পর্যটকদের জন্য, যারা থাইল্যান্ডের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের গভীরে প্রবেশ করতে চান।