brand
Home
>
Japan
>
Hiroshima Prefecture
Slide 1
Slide 2
Slide 3
Slide 4

Hiroshima Prefecture

Hiroshima Prefecture, Japan

Overview

হিরোশিমা প্রিফেকচার জাপানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল, যা তার গভীর ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এটি মূলত দুইটি প্রধান শহর, হিরোশিমা ও ফুকুইশিমা দ্বারা গঠিত। হিরোশিমা শহর, যা বিশ্বে অন্যতম স্মরণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত, ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা পড়ার পর বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। এই শহরের প্রতিটি কোণে ইতিহাসের ছাপ রয়েছে, যা বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি গভীর অনুভূতি তৈরি করে।





ইতিহাসের ছাপ ছাড়াও, হিরোশিমা অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ্য। এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য ও পাহাড়ের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। বিশেষ করে, মিয়াজিমা দ্বীপ যেখানে বিশাল টোরি পোর্টাল এবং সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। এই দ্বীপটি ঝড়ের মধ্যে ভেসে যায় এবং এটি একটি শুদ্ধ আত্মিক স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে আসলে পর্যটকরা ঐতিহ্যবাহী জাপানি সংস্কৃতির স্পর্শ অনুভব করতে পারেন।





সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হিরোশিমা অঞ্চলে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে হিরোশিমা ওকনমিয়াকি, যা একটি বিশেষ ধরনের প্যানকেক, এখানকার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ। এই খাবারটি নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় এবং স্থানীয় রেস্তোরাঁর মাধ্যমে পর্যটকদের জন্য উপলব্ধ। শহরের বিভিন্ন উৎসব যেমন, হিরোশিমা ফুলের উৎসব, যেখানে ফুলের সৌন্দর্য উদযাপন করা হয়, সেখানকার প্রাণবন্ত সংস্কৃতির পরিচয় দেয়।





শান্তি স্মৃতিসৌধ এবং শান্তি মিউজিয়াম হিরোশিমার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই স্থানগুলি ১৯৪৫ সালের ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখে এবং শান্তির বার্তা প্রদান করে। এখানে আসলে পর্যটকরা সেই সময়ের গল্প, দুঃখ এবং আশা উভয়ই অনুভব করতে পারেন।





সবশেষে, হিরোশিমা প্রিফেকচার শুধুমাত্র একটি ভ্রমণের স্থান নয়, বরং এটি একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণ এখানে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এক অনন্য ও মূল্যবান অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

How It Becomes to This

হিরোশিমা প্রিফেকচারের ইতিহাস: একটি ভ্রমণকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি



প্রাচীন যুগ



হিরোশিমা প্রিফেকচার, জাপানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে একটি, যার ইতিহাস প্রাচীন যুগ থেকে শুরু। প্রাচীন যুগে, এই এলাকা ছিল বিভিন্ন জাতির বসবাসের কেন্দ্র। বিশেষ করে, জোমোন কাল (১৪,০০০-৩০০ খ্রিস্টপূর্ব) থেকে শুরু করে, মানুষ এখানে বাস করতে শুরু করে। এই সময়ে, তারা মাটি থেকে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পাত্র তৈরি করত।

এছাড়া, কিফুন কালের (৩০০-৫০০ খ্রিস্টাব্দ) সময়, স্থানীয় শাসকগণ তাদের এলাকায় শক্তিশালী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়ের মধ্যে, হিরোশিমার আশেপাশে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়, যা এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়।





মধ্যযুগ



মধ্যযুগে, হিরোশিমা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ১৫৬১ সালে, মোড়ি রোকেনের শাসনকালে হিরোশিমার প্রথম দুর্গ নির্মাণ করা হয়। এটি ছিল একটি শক্তিশালী সামরিক স্থাপনা যা পরে হিরোশিমা দুর্গ নামক পরিচিতি লাভ করে। এই দুর্গের কারণে হিরোশিমা একটি কৌশলগত অবস্থানে পরিণত হয়, যা সামরিক বাহিনীর জন্য বিশেষভাবে উপযোগী ছিল।

এই সময়ে, স্থানীয় সম্প্রদায়গুলি সমৃদ্ধি লাভ করে এবং সংস্কৃতি বিকাশ পায়। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান যেমন শ্রী শিরোশিমা মন্দির এবং তানাকা মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজও দর্শকদের আকৃষ্ট করে।





এডো যুগ



এডো যুগ (১৬০৩-১৮৬৮) হিরোশিমার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল। এই সময়ে, হিরোশিমা প্রিফেকচার শোগুনাটির অধীনে ছিল এবং এটি একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এখানে বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসার বিকাশ ঘটে।

হিরোশিমা দুর্গ এই সময়ের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং এটি স্থানীয় রাজা ও শাসকদের বাসস্থান হয়ে ওঠে। এডো যুগের শেষদিকে, পশ্চিমা সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির প্রভাব হিরোশিমায় প্রবেশ করে, যা স্থানীয় সমাজে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে।





মেইজি যুগ এবং আধুনিক যুগ



মেইজি যুগ (১৮৬৮-১৯১২) হিরোশিমার ইতিহাসে পরিবর্তনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করে। এই সময়ে, হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিরোশিমা শহর আধুনিকায়নের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।

তবে, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট, হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলা ঘটে, যা শহরটিকে ধ্বংস করে দেয় এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই ঘটনার পর, হিরোশিমা শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজও মানুষকে এই নির্মম সত্যের বিষয়ে সচেতন করে।





বর্তমান যুগ



বর্তমান যুগে, হিরোশিমা প্রিফেকচার একটি পুনর্নির্মিত শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শহরটি আন্তর্জাতিক শান্তির প্রতীক এবং প্রতিবছর শান্তি দিবস পালন করা হয়। এইদিনে, লোকেরা শহরের শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের সামনে সমবেত হয় এবং অতীতের দুঃখজনক ঘটনাগুলো স্মরণ করে।

শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের পাশেই শান্তি পার্ক অবস্থিত, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এসে শান্তির বার্তা প্রচার করে। এই পার্কের মধ্যে, শান্তি গম্বুজ এবং শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।





পর্যটক হিসেবে হিরোশিমা



যারা হিরোশিমা প্রিফেকচার ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য এখানে অনেক কিছু দেখার ও শেখার আছে। হিরোশিমা শহর ছাড়াও, প্রিফেকচারের অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থান যেমন মিয়াজিমা দ্বীপ, যেখানে ইত্সুকুশিমা মন্দির অবস্থিত, এবং সেন্দাই শহরের দুর্গ দর্শনার্থীদের জন্য অপরিহার্য।

এছাড়া, সিরোকো মন্দির এবং টাকারা ডোকি শহর এর মতো স্থানগুলি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ প্রদান করে।





এভাবে, হিরোশিমা প্রিফেকচার ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্রমণকারীদের জন্য একটি পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা তাদেরকে অতীতের গৌরব ও দুঃখের সাথে পরিচিত করে।

Historical representation

Discover More Area

Delve into more destinations within this state and uncover hidden gems.