brand
Home
>
Mauritius
>
Savanne
Slide 1
Slide 2
Slide 3
Slide 4

Savanne

Savanne, Mauritius

Overview

সাভান অঞ্চলের সংস্কৃতি সাভান, মরিশাসের একটি চমৎকার অঞ্চল যা তার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য দ্বারা পরিচিত। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস, যেমন ভারতীয়, আফ্রিকান, চীনা এবং ইউরোপীয়। এই সংস্কৃতির মেলবন্ধন স্থানীয় উৎসব, খাবার এবং শিল্পকলায় প্রতিফলিত হয়। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় 'পোইয়ে' উৎসব, যেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নদীতে পুজো করতে আসে। এছাড়াও, স্থানীয় বাজারগুলোতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের হাতে তৈরি শিল্পকর্ম, যা সাভানের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে।

আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সাভান অঞ্চলের আবহাওয়া সাধারণত উষ্ণ এবং মনোরম। এখানে উষ্ণ গ্রীষ্ম এবং মৃদু শীতকাল দেখা যায়, যা ভ্রমণের জন্য আদর্শ। সাভানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ। সবুজ পাহাড়, স্রোতস্বিনী নদী এবং সুনীল সমুদ্র সৈকত মিলিয়ে একটি স্বপ্নময় পরিবেশ তৈরি করে। স্থানীয়রা প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেম এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে, যা তাদের জীবনধারায় প্রতিফলিত হয়।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব সাভান অঞ্চলের ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং প্রাচীন। এটি মরিশাসের প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপনের সাক্ষী, এবং এখানকার অনেক স্থাপনায় ব্রিটিশ এবং ফরাসি উপনিবেশের প্রভাব স্পষ্ট। সাভানে অবস্থিত 'ল্যাভেলেস' দুর্গ, যা ১৯শ শতাব্দীতে নির্মিত, স্থানীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দুর্গটি একসময় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ব্যবহৃত হত এবং বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

স্থানীয় বৈশিষ্ট্য সাভানের স্থানীয় খাবারগুলোও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। এখানে আপনি পাবেন দারুণ সব ভারতীয় খাবার, যেমন 'বিরিয়ানি' এবং 'রোটি', পাশাপাশি স্থানীয় বিশেষত্ব 'গাল্লে'। স্থানীয় বাজারগুলোতে ভ্রমণ করলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, সবজি এবং মসলার স্বাদ নিতে পারবেন। সাভান এলাকার মানুষ অতিথিপরায়ণ এবং আনন্দময়, যা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রদান করে।

পর্যটন কার্যক্রম সাভানে আসলে, পর্যটকরা বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে অংশ নিতে পারেন। এখানে ওয়াটার স্পোর্টস, যেমন ডাইভিং এবং কাইটসার্ফিং জনপ্রিয়। এছাড়া, স্থানীয় গাইডদের মাধ্যমে পাহাড়ে ট্রেকিং বা সাইকেল চালানোর সুযোগও রয়েছে। সাভানের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি নৌকা ভ্রমণও একটি চমৎকার বিকল্প।

সারসংক্ষেপে সাভান অঞ্চলের প্রতিটি কোণে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ রয়েছে। এটি একটি স্থান যেখানে পর্যটকরা মরিশাসের ভিন্ন ভিন্ন দিকগুলোকে আবিষ্কার করতে পারেন, এবং তাদের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

How It Becomes to This

মরিশাসের সাভান্নে অঞ্চল, দেশের দক্ষিণে অবস্থিত, একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক heritage নিয়ে গর্বিত। এটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান, যেখানে ইতিহাসের বিভিন্ন স্তর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একত্রিত হয়েছে।

প্রাচীন সময়ে, সাভান্নে অঞ্চলের ভূমি ছিল বিভিন্ন জাতির মানুষের আবাসস্থল। এখানে প্রথমে আসেন পলিনেশিয়ানরা, যারা এখানে কিছু সময়ের জন্য বাস করেছিল। পরে, মালয় এবং আফ্রিকান জাতির মানুষও এখানে এসে বসতি স্থাপন করে। এই সময়ের ইতিহাসের প্রমাণ পাওয়া যায় এখানে পাওয়া কিছু প্রাচীন জিনিসপত্রে, যা তাদের জীবনযাত্রার তথ্য দেয়।

১৬শ শতাব্দী থেকে, সাভান্নে অঞ্চলে ইউরোপীয় শক্তির আগমনে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। ডাচরা প্রথমে এখানে এসে বসতি স্থাপন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি। এরপর, ফরাসিরা আসেন এবং তারা অঞ্চলটিকে তাদের কলোনি হিসেবে গড়ে তোলেন। ফরাসিরা এখানে চিনি উৎপাদনের জন্য কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়ন করেন, যা সাভান্নেকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে।

১৮শ শতাব্দীর মাঝের সময়ে, সাভান্নে চিনি উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। এর ফলে, এখানে শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যায় এবং ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়। এই শ্রমিকরা সাভান্নেতে নতুন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে আসে, যা এখনো এখানে স্পষ্ট।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগ (১৮১০-১৯৬৮) সাভান্নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ব্রিটিশরা ফরাসিদের থেকে সাভান্নেকে দখল করে এবং চিনি ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করে। এই সময়ে, সাভান্নের স্থাপত্যে ব্রিটিশ প্রভাব দেখা যায়, বিশেষ করে সাভান্নে জেলার প্রশাসনিক ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা।

১৯শ শতাব্দীর শেষ থেকে ২০শ শতাব্দীর শুরু পর্যন্ত, সাভান্নে একটি পরিবর্তনশীল সময় পার করে। সাভান্নের কৃষি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসতে শুরু করে এবং নতুন কৃষি পণ্য যেমন কফিকোকো চাষ করা শুরু হয়। এই সময়ে, সাভান্নেতে সামাজিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক সচেতনতার উন্মেষ ঘটে, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১৯৬৮ সালে মরিশাস স্বাধীনতা লাভের পর, সাভান্নে আরও একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। স্বাধীনতার পর, সরকার অঞ্চলটিকে উন্নত করার জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে। সাভান্নে পাহাড় এবং সাভান্নে সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বর্তমানে, সাভান্নে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানকার লেভে নদী এবং সাভান্নে জাতীয় উদ্যান প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান। পর্যটকরা এখানে হাইকিং, স্নরকেলিং এবং অন্যান্য জলক্রীড়া উপভোগ করতে পারেন।

সাভান্নের সংস্কৃতিতে এখনো ভারতীয়, ফরাসি, এবং আফ্রিকান প্রভাব স্পষ্ট। স্থানীয় উৎসবগুলো, যেমন দিওয়ালিহোলি, এখানে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।

সাভান্নে ভ্রমণ করলে, আপনি দেখতে পাবেন এখানকার অনন্য ইতিহাস এবং সংস্কৃতির মিশ্রণ। স্থানীয় বাজারে হাঁটলে, সেখানে আপনি পাবেন বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় খাবার এবং হস্তশিল্প।

সাভান্নের অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য পর্যটকদের জন্য একটি স্বর্গ। এখানে আপনি সূর্যোদয়ের সময়ে সৈকতে বসে থাকতে পারেন এবং স্থানীয় জীবনের রঙিন দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

সাভান্নে ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এবং এটি পর্যটকদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। আজকের সাভান্নে, প্রাচীন ইতিহাসের সাথে আধুনিকতার সংমিশ্রণ রয়েছে, যা প্রতিটি দর্শকের মনকে আকৃষ্ট করে।

সাভান্নে ভ্রমণ করলে, আপনি শুধু একটি সুন্দর স্থানে আসবেন না, বরং আপনি এখানে ইতিহাসের পাতাগুলোর সাথে পরিচিত হবেন। এটি একটি স্থান যেখানে আপনি সময়ের সাথে সাথে চলতে পারবেন এবং ইতিহাসের প্রত্যেক স্তরের স্বাদ নিতে পারবেন।

Historical representation

Discover More Area

Delve into more destinations within this state and uncover hidden gems.