brand
Home
>
Syria
>
Damascus
Slide 1
Slide 2
Slide 3
Slide 4

Damascus

Damascus, Syria

Overview

دمشقের ইতিহাস دمشق, সিরিয়ার রাজধানী, বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে একটি। এর ইতিহাস প্রায় ১১,০০০ বছরের পুরানো, এবং এটি বিভিন্ন সভ্যতার জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। ফিনিশিয়ান, রোমান, বাইজেন্টাইন, এবং ইসলামি সভ্যতার প্রভাব শহরের স্থাপত্য এবং সংস্কৃতিতে দৃশ্যমান। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ওমাইয়াদ মসজিদ এর ইতিহাস ও স্থাপত্য এক বিশেষ আকর্ষণ। এটি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং প্রাচীন মসজিদ, যা একবারে একটি রোমান মন্দিরের স্থানে নির্মিত হয়েছিল।

স্থানীয় সংস্কৃতি دمشقের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। এই শহরের সঙ্গীত, নৃত্য, এবং শিল্পকলা স্থানীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিরিয়ান খাবার এর স্বাদও শহরের সংস্কৃতির একটি মৌলিক দিক। হুমুস, তাবুলেহ, এবং কাবাবের মতো খাবারগুলি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়, যা বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা। স্থানীয় বাজারগুলি, যেমন সুক আল হামিদিয়া, শপিংয়ের জন্য একটি চমৎকার স্থান, যেখানে আপনি হস্তশিল্প, মসলা, এবং কাপড় কিনতে পারেন।

শহরের পরিবেশ دمشقের পরিবেশ শান্ত এবং আতিথেয়তাপূর্ণ। শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন ভবন এবং আধুনিক স্থাপত্যের মিশ্রণ দেখা যায়। স্থানীয় মানুষ সাধারণত বন্ধুবৎসল এবং অতিথিপরায়ণ, যা বিদেশিদের জন্য একটি সুখকর অভিজ্ঞতা তৈরি করে। মোদার্ন সিটি সেন্টার এবং আল-মুয়াসসাস এর মতো আধুনিক শপিং মলগুলি শহরের আধুনিক দিক প্রকাশ করে, যেখানে আপনি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এবং স্থানীয় পণ্য খুঁজে পাবেন।

ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য دمشق ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বাস করে, এবং এটি শহরের বৈচিত্র্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সেন্ট পল ক্যাথেড্রাল এবং আল-আসাদ মসজিদ এর মতো ধর্মীয় স্থানগুলি দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। ধর্মীয় উৎসব এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা, যা আপনাকে শহরের সংস্কৃতির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য دمشقের চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অনেকটাই আকর্ষণীয়। কাসিওন পর্বতমালা শহরের পূর্ব দিকে অবস্থিত, যা হাইকিং এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের জন্য একটি দুর্দান্ত স্থান। এখানে আপনি স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, যারা তাদের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে আপনাকে জানাবে। আল-জুদাইদা গার্ডেন এবং আল-শাহবা পার্কও শহরের মধ্যে সবুজ স্থান হিসেবে পরিচিত।

উপসংহার دمشق একটি চমৎকার গন্তব্য, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং আধুনিকতা একত্রে মিশে গেছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য এটি একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা, যেখানে তারা শুধু শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করাই নয়, বরং স্থানীয় সংস্কৃতির গভীরে প্রবেশ করতে পারে।

How It Becomes to This

ডামেস্ক, সিরিয়ার একটি প্রাচীন শহর, ইতিহাসের এক বিশাল ক্যানভাস। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বসতি, যার ইতিহাস ৪০০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। শহরটি বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির সংমিশ্রণ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। আসুন, ডামেস্কের ইতিহাসের বিভিন্ন যুগের মাধ্যমে একটি ভ্রমণ-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে চলা যাক।



প্রাচীন যুগে, ডামেস্ক ছিল উরুক ও আমোরাইটদের আধিকারিক কেন্দ্র। বাইবেলহেরোডোটাস-এর লেখায় এই শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা তার প্রাচীনত্বকে প্রমাণ করে। বিশেষ করে, আশুরিয়ানবাবিলোনিয়ান সভ্যতার প্রভাবে শহরটি উন্নতি লাভ করে। এই সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ছিল আল-হামিদিয়া সুক, যা আজও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিকশিত।



রোমান যুগে, ডামেস্ক গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে গড়ে ওঠে। অগাস্টাসের শাসনকালে, শহরটি রোমান প্রদেশের রাজধানী হয়ে ওঠে। ওমায়্যাদ মসজিদ (জামি আল-আকসা) নির্মাণ হয় এই সময়। এটি শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এবং ইসলামী শিল্প ও স্থাপত্যের এক অনন্য উদাহরণ। রোমান আর্কিটেকচারের প্রভাব এবং ইসলামী স্থাপত্যের সমন্বয়ে এটি একটি দর্শনীয় স্থান।



মধ্যযুগে, ডামেস্ক ইসলামী সভ্যতার একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ওমায়্যাদ খিলাফতের অধীনে, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক হাব হিসেবে পরিচিতি পায়। এই সময়, শহরের শিক্ষায়, বিজ্ঞান ও শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটে। ইবনে সিনাইবনে রুশদ-এর মতো দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা এখানে তাদের গবেষণা করেছেন।



১৩শ শতাব্দীতে, মঙ্গোল আক্রমণের পর ডামেস্কের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। যদিও শহরটি কিছু সময়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে মামলুকমামলুক স্থাপত্য এই সময়ের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। নাসিরি মসজিদ এবং জাহিরিয়া মসজিদ এর মতো স্থাপত্যগুলি এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।



অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে, ডামেস্ক আবারো একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ১৬শ শতাব্দীতে, শহরটি সাংস্কৃতিক ও আর্থিক উন্নতির একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। অটোমান স্থাপত্য শহরের চেহারায় নতুন মাত্রা যোগ করে। জামি আল-সালাহিবাজার আল-বাজার এর মতো স্থানগুলি এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।



২০শ শতাব্দীর প্রথম দিকে, ডামেস্ক সিরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ১৯১৬ সালে, অ্যারাব রেভলিউশন শহরটিকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যায়। পরে, ১৯৪৬ সালে সিরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং ডামেস্ক রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।



বর্তমান যুগে, ডামেস্ক একাধিক যুদ্ধ ও সংঘাতের শিকার হয়েছে। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের পর শহরের অবকাঠামো ও জনজীবনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তবে শহরটি তার প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে। প্যালেস্টাইন স্ট্রিট এবং মারজান স্ট্রিট এর মতো স্থানগুলি আজও ডামেস্কের সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্র।



ডামেস্ক ভ্রমণের সময়, আল-হামিদিয়া বাজার, ওমায়্যাদ মসজিদ, এবং আল-আজমি প্যালেস এর মতো স্থানগুলি অবশ্যই দেখুন। এগুলি সমস্ত স্থান শহরের ইতিহাসের গল্প বলছে, যা আপনাকে একটি অসাধারণ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে।



ডামেস্কের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য একসাথে মিলে একটি অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করে। শহরটি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং সংস্কৃতি ও সভ্যতার মিলনস্থল হিসেবে যাদের জন্য আকর্ষণীয়, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ গন্তব্য।

Historical representation

You May Like

Explore other interesting states in Syria

Discover More Area

Delve into more destinations within this state and uncover hidden gems.