brand
Home
>
United Kingdom
>
United Kingdom
Slide 1
Slide 2
Slide 3
Slide 4

United Kingdom

United Kingdom, United Kingdom

Overview

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি এক অতি বৈচিত্র্যময় tapestry, যা প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক প্রবণতার সংমিশ্রণ। ইংরেজি, স্কটিশ, ওয়েলশ এবং আয়ারল্যান্ডের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিফলন এখানে স্পষ্ট। এই দেশটি তার সাহিত্য, সঙ্গীত, এবং শিল্পের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। শেক্সপিয়র, ডিকেন্স, এবং জে.কে. রাওলিং-এর মতো লেখকরা সাহিত্য জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে, বিটলস ও রোলিং স্টোনসের মতো ব্যান্ডগুলো বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটিয়েছে।





ঐতিহাসিক গুরুত্ব যুক্তরাজ্যের ইতিহাস একটি গভীর ও সমৃদ্ধ গল্প। রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে শুরু করে, এটি মধ্যযুগীয় রাজত্ব, শিল্প বিপ্লব এবং আধুনিক জাতির পরিণতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। লন্ডনের টাওয়ার, স্টোনহেঞ্জ, এবং এডিনবার্গের ক্যাসল-এর মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেশের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী। লন্ডন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বিখ্যাত বাকিংহাম প্যালেস, ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের আধুনিক চিত্র তুলে ধরে।





স্থানীয় বৈশিষ্ট্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইংল্যান্ডের দক্ষিণে আপনি পাব পাবলিক হাউসগুলোতে গরম খাবার এবং বিয়ার উপভোগ করতে পারবেন। স্কটল্যান্ডে, হাইল্যান্ডসের ল্যান্ডস্কেপ এবং গলফের জন্য বিশ্ববিখ্যাত কোর্টস রয়েছে। ওয়েলসে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের জন্য পরিচিত, যেখানে আপনাকে স্থানীয় ফোল্ক সঙ্গীত শুনতে পাবেন।





আবহাওয়া ও ভ্রমণের সময় যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া পরিবর্তনশীল, তবে সাধারণভাবে এটি মৃদু। বসন্ত এবং শরৎকাল ভ্রমণের জন্য আদর্শ, যখন প্রকৃতি রঙিন ফুল ও পাতা দিয়ে সজ্জিত হয়। গ্রীষ্মে, দেশের বিভিন্ন পার্ক ও উদ্যানগুলোতে পিকনিকের আনন্দ নিতে পারবেন, আর শীতকালে, ক্রিসমাস মার্কেটগুলো প্রতিটি শহরে উৎসবের আবহ সৃষ্টি করে।





স্থানীয় খাবার যুক্তরাজ্যের খাবার সংস্কৃতিও বৈচিত্র্যময়। প্রতিদিনের খাবারে ক্লাসিক ফিশ অ্যান্ড চিপস, সসেজ রোল এবং ইংরেজি ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, স্কটিশ হাগিস, ওয়েলশ কেক এবং আয়ারল্যান্ডের আইরিশ স্টাউটও উল্লেখযোগ্য। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।





জনগণ ও আতিথেয়তা যুক্তরাজ্যের জনগণ সাধারণত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অতিথিপরায়ণ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আগত মানুষদের সাথে মিশতে এবং নতুন বন্ধু তৈরি করতে আপনাকে উৎসাহিত করবে। স্থানীয় ভাষা, ইংরেজি, সারা পৃথিবীতে ব্যবহৃত হলেও, প্রতিটি অঞ্চলে তাদের নিজস্ব উচ্চারণ ও শব্দভাণ্ডার রয়েছে যা আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ দেবে।





ভ্রমণের পরামর্শ যদি আপনি যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন, তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা বেশ সুবিধাজনক। ট্রেন ও বাস পরিষেবাগুলো দ্রুত ও সাশ্রয়ী। লন্ডনের মেট্রো, ‘টিউব’, শহরের মধ্যে চলাচলের অন্যতম দ্রুত উপায়। দেশটির বিভিন্ন শহর ও গ্রামগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত, তাই আপনি সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন।

How It Becomes to This

প্রাচীন সময় যুক্তরাজ্যের ইতিহাস শুরু হয় প্রাচীন সময় থেকে, যখন সেল্টিক জনগণ এখানে বসবাস করত। তারা পাহাড়, উপত্যকা এবং নদী উপকূলে তাদের বসতি স্থাপন করে। এই সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো স্টোনহেঞ্জ, যা সেল্টিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এটি একটি বিশাল পাথরের নকশা, যা প্রাচীন সময়ের মানুষের জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানকে প্রকাশ করে।

এছাড়াও, কার্ডিফ এবং এডিনবার্গ শহরগুলো প্রাচীন সময়ের সেল্টিক সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল। এখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান এবং প্রাচীন দুর্গ রয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। সেল্টিক জনগণের পর ইংরেজদের আগমন ঘটে, যারা স্থানীয় সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে।





রোমান সাম্রাজ্যের আগমন প্রথম শতাব্দীতে, রোমান সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে এবং তারা এখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করে। লন্ডিনিয়াম (বর্তমানে লন্ডন) রোমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। এখানে তারা রাস্তাঘাট, স্নানাগার এবং বাজার নির্মাণ করে।

বাথ শহরটি রোমানদের দ্বারা নির্মিত একটি বিখ্যাত স্থান, যেখানে রোমান স্নানাগার এবং তাপীয় উৎস রয়েছে। আজও পর্যটকরা এখানে আসেন রোমান স্থাপত্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।





মধ্যযুগ মধ্যযুগের সময়ে, ইংল্যান্ডে বিভিন্ন রাজবংশের উত্থান ও পতন ঘটে। নরম্যান বিজয় (১০৬৬) একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ইংল্যান্ডের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় খোলে। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবি এবং টাওয়ার অফ লন্ডন এর মতো স্থাপনাগুলো এই সময়ে নির্মিত হয়।

নরম্যান রাজা উইলিয়াম দ্য কনকারের নেতৃত্বে নির্মিত টাওয়ার অফ লন্ডন এখন একটি ঐতিহাসিক স্থান এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য। এখানে রানি এলিজাবেথের রত্ন এবং ইতিহাসের নানা দিক সম্পর্কে জানা যায়।





টিউডর যুগ ১৫২৭ সালে হেনরি অষ্টমের শাসনকালে টিউডর যুগের সূচনা ঘটে। এই সময়ে স্ট্র্যাটফোর্ড-আপন-এভন, যেখানে বিশ্বখ্যাত নাট্যকার শেকসপিয়ার জন্মগ্রহণ করেন, ভ্রমণকারীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে।

হেনরি অষ্টমের রাজ্যকাল ধর্মীয় পরিবর্তনের জন্যও পরিচিত। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবি এবং হ্যাম্পটন কোর্ট প্যালেস এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।





ভিক্টোরিয়ান যুগ নবম শতকের শেষভাগে, ভিক্টোরিয়া রানি-এর শাসনাধীন সময়ে যুক্তরাজ্য একটি বিশাল ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। এই সময়ে লন্ডন শহরটি শিল্প বিপ্লবের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠে এবং ব্রিটিশ মিউজিয়াম এর মতো স্থাপনাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়।

ব্রাইটন এবং কেনসিংটন এর মতো উপকূলীয় শহরগুলো ভিক্টোরিয়ান যুগের সময় পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি পায়।





২০শ শতাব্দী বিশ্বযুদ্ধের কারণে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে একটি নতুন মোড় আসে। লন্ডন এবং ব্রেমারহ্যাম এর মতো শহরগুলো যুদ্ধকালীন সময়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এই সময়ে লন্ডনের সিটি এবং ক্যামডেন এর মতো স্থানগুলো সংস্কারের মাধ্যমে নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করে।

বর্তমানে, লন্ডন শহরটি বিশ্বের অন্যতম বৈশ্বিক শহর হিসেবে পরিচিত। এখানে বিগ বেন, লন্ডন আই এবং বাকিংহাম প্যালেস এর মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।





বর্তমান সময় আজকের যুগে, যুক্তরাজ্য একটি বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির কেন্দ্র। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এর সমন্বয়ে গঠিত এটি সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং আধুনিকতার মিশ্রণ। এডিনবার্গের এডিনবার্গ ফেস্টিভ্যাল এবং লন্ডনের প্যারেড এর মতো অনুষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।

পর্যটকরা কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড এর বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টোনহেঞ্জ এর মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাসের স্বাদ নিতে পারেন।





যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ একটি অতুলনীয় অভিজ্ঞতা, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ ঘটেছে। এই দেশের প্রতিটি কোণে লুকিয়ে আছে ইতিহাসের গল্প, যা পর্যটকদের জন্য একটি অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

Historical representation