brand
Home
>
Japan
>
Konpira-san (Kotohira-gu) (金刀比羅宮)

Konpira-san (Kotohira-gu) (金刀比羅宮)

Kagawa Prefecture, Japan
Main image
Additional image 1
Additional image 2
See all photos

Overview

কনপিরা-সান (কোটোহিরা-গু) হল জাপানের কাগাওয়া প্রিফেকচারের একটি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক স্থান, যা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। এই স্থানটি মূলত সমুদ্রের যাত্রীদের এবং নাবিকদের দেবতা, কাননো-মাইক এর মন্দির হিসেবে পরিচিত। কনপিরা-সান একটি পাহাড়ে অবস্থিত, যার জন্য সেখানে পৌঁছানোর জন্য বেশ কিছু সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। মোট ১,৩৬৮টি সিঁড়ি আপনাকে প্রথম মন্দিরের কাছে নিয়ে যাবে, যা একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু পুরস্কৃত অভিজ্ঞতা।
কনপিরা-সান এর ইতিহাস প্রায় ১,৩০০ বছরের পুরনো। এটি ৮০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি জাপানের অন্যতম প্রাচীন মন্দিরগুলোর একটি। এখানে আসলে, আপনি শুধু ধর্মীয় অনুভূতি পাবেন না, বরং জাপানের প্রাচীন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যও অনুভব করতে পারবেন। মন্দিরের প্রধান ভবন, 'কোটোহিরা-গু', একটি সুন্দর নির্মাণ যা জাপানি স্থাপত্যের চমৎকার উদাহরণ। এর চারপাশে রয়েছে মনোরম প্রকৃতি এবং অসংখ্য পাইন গাছের সারি, যা পরিবেশকে আরও শীতল এবং শান্ত করে তোলে।
স্থানীয় সংস্কৃতি এবং উৎসব সম্পর্কে জানতে চাইলে, কনপিরা-সান বছরে একাধিক উৎসবের আয়োজন করে। বিশেষ করে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয় 'কনপিরা-সান উৎসব', যেখানে স্থানীয় লোকেরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এই সময়ে মন্দির চত্বর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং ভ্রমণকারীদের জন্য এটি একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হতে পারে।
কিভাবে পৌঁছাবেন জানতে চাইলে, কনপিরা-সান পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হল ট্রেন বা বাস ব্যবহার করা। কাগাওয়া প্রিফেকচারের রাজধানী, টোকুমা থেকে কনপিরা-সান মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে। ট্রেন যাত্রা শেষে, আপনাকে কিছু সময় হাঁটতে হবে কিন্তু পথের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
স্মারক দ্রব্য এবং স্থানীয় খাবার খোঁজার জন্যও এখানে অনেক কিছু আছে। মন্দিরের নিকটবর্তী দোকানগুলোতে আপনি স্থানীয় হস্তশিল্প এবং স্মারক দ্রব্য কিনতে পারেন। আর খাবারের ক্ষেত্রে, কাগাওয়া প্রিফেকচারের বিখ্যাত উনন এবং সরিষার তেলের প্রস্তুতি অবশ্যই চেষ্টা করুন।
কনপিরা-সান হল একটি উজ্জ্বল স্থান যা ধর্মীয় অনুভূতি, ঐতিহ্য, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমন্বয় ঘটায়। এটি জাপানের এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যা আপনাকে নতুন দৃষ্টিকোণ এবং শান্তি প্রদান করবে। এখানে আসলে, আপনি কেবল একটি স্থানেই নয়, বরং জাপানের হৃদয়ে প্রবেশ করবেন।