brand
Home
>
Norway
>
Arctic World Archive (Arktisk verdensarkiv)

Arctic World Archive (Arktisk verdensarkiv)

Main image
Additional image 1
Additional image 2
See all photos

Overview

আর্কটিক ওয়ার্ল্ড আর্কাইভ (আরকটিস্ক ভের্ডেনসার্কিভ)
নরওয়ের স্ভালবার্দের একটি বিশেষ স্থান হলো আর্কটিক ওয়ার্ল্ড আর্কাইভ। এটি একটি অভিনব প্রকল্প, যা মানবতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই আর্কাইভটি 2017 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি বিশ্বের প্রথম স্থায়ী ডিজিটাল সংরক্ষণাগার হিসেবে পরিচিত।
স্ভালবার্দের তীব্র শীতল আবহাওয়া এবং বিচ্ছিন্ন অবস্থানের কারণে, এখানে সংরক্ষিত তথ্যগুলি দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপদে রাখা সম্ভব। আর্কটিক ওয়ার্ল্ড আর্কাইভের উদ্দেশ্য হলো, মানবতার ইতিহাসের একটি অংশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করা। এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যেমন বই, ফিল্ম, ছবি, এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদান ডিজিটাল ফর্ম্যাটে সংরক্ষিত হয়।
সংরক্ষণাগারের স্থান
আর্কটিক ওয়ার্ল্ড আর্কাইভটি একটি পর্বতের গহ্বরে অবস্থিত, যা স্ভালবার্দের মূল শহর লংইয়ারবিয়োনের কাছে। এটি একটি বিশেষভাবে নির্মিত সুড়ঙ্গের ভেতরে অবস্থিত, যেখানে 250 মিটার গভীরতার মধ্যে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। এই সুড়ঙ্গের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যাতে এখানে সংরক্ষিত তথ্যগুলি নিরাপদ থাকে।
মূল উদ্দেশ্য
এই আর্কাইভের মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি এবং জাতির ইতিহাসকে রক্ষা করা। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি সময়ের সাথে সাথে মানব সভ্যতার উন্নতি এবং চ্যালেঞ্জগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তৈরি করতে সাহায্য করে।
পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ
যদিও আর্কটিক ওয়ার্ল্ড আর্কাইভ সাধারণত জনসাধারণের জন্য খোলা হয় না, তবে স্ভালবার্দের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিশেষত্ব ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। এখানে আগত পর্যটকরা বিরল প্রজাতির প্রাণী, বিশেষ করে আর্কটিক ভাল্লুক, পেঙ্গুইন এবং নানা ধরনের পাখি দেখতে পারেন। স্ভালবার্দের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং আর্কটিক অঞ্চলের অভিজ্ঞতা নিতে ভ্রমণকারীরা বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যেমন হাইকিং, কায়াকিং এবং স্নোমোবাইলিং।
উপসংহার
আর্কটিক ওয়ার্ল্ড আর্কাইভ সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি মূল্যবান প্রকল্প, যা মানব ইতিহাসের একটি অংশকে রক্ষা করে। স্ভালবার্দের এই বিশেষ স্থানে ভ্রমণ করা মানে শুধু তথ্যের সংরক্ষণ দেখা নয়, বরং একটি অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশের অংশ হওয়া। এটি নরওয়ের সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতির একটি চমৎকার উদাহরণ, যা বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।