brand
Home
>
Malaysia
>
Putrajaya Firefly Park (Taman Kelip-Kelip Putrajaya)

Putrajaya Firefly Park (Taman Kelip-Kelip Putrajaya)

Putrajaya, Malaysia
Main image
Additional image 1
Additional image 2
See all photos

Overview

পুত্রজায়া ফায়ারফ্লাই পার্ক (তামান কেলিপ-কেলিপ পুত্রজায়া)
পুত্রজায়া ফায়ারফ্লাই পার্ক, যা স্থানীয়ভাবে তামান কেলিপ-কেলিপ পুত্রজায়া নামে পরিচিত, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বিশেষ স্থানটি প্রকৃতির প্রেমীদের এবং রোমান্টিকদের জন্য একটি অত্যন্ত মায়াবী স্থান। ফায়ারফ্লাই বা জোনাকি পোকা, এই পার্কের প্রধান আকর্ষণ। সন্ধ্যা হলে, এই জোনাকি পোকাগুলি গাছের মধ্যে ঝলমল করে, যা দর্শকদের জন্য একটি বিস্ময়কর দৃশ্য সৃষ্টি করে।
এখানে আসলে, আপনি একটি নৈসর্গিক পরিবেশে প্রবেশ করবেন যেখানে শান্ত নদী এবং সবুজ গাছপালা আপনাকে ঘিরে রাখবে। স্থানটি বিশেষ করে রাতের সময়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়। আপনার যদি চান, আপনি নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে নদীর উপর দিয়ে যাবেন, যেখানে আপনি জোনাকির উজ্জ্বল আলো দেখতে পাবেন। বিশেষ করে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই দৃশ্যটি সবচেয়ে সুন্দর হয়।
প্রবেশ ও সুবিধা
পুত্রজায়া ফায়ারফ্লাই পার্কে প্রবেশ করতে হলে একটি নির্দিষ্ট প্রবেশ ফি দিতে হয়, যা আপনার নৌকা ভ্রমণের খরচও অন্তর্ভুক্ত করে। পার্কের ভেতরে কিছু খাবার ও পানীয়ের বিকল্পও উপলব্ধ, তবে আপনি চাইলে নিজের খাবারও নিয়ে আসতে পারেন। এখানে পরিবার, বন্ধুদের সাথে কিংবা সঙ্গীর সাথে আসা একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা হতে পারে।
কীভাবে পৌঁছাবেন
পুত্রজায়া ফায়ারফ্লাই পার্কে পৌঁছানো বেশ সহজ। আপনি কুয়ালালামপুর থেকে ট্যাক্সি বা উবারের মাধ্যমে সরাসরি পার্কে যেতে পারেন। এছাড়াও, স্থানীয় বাস পরিষেবা ব্যবহার করে পুত্রজায়া শহরে পৌঁছে সেখান থেকে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহারে পার্কে আসা সম্ভব।
সময়সূচি ও পরামর্শ
পার্কটি প্রতিদিন খোলা থাকে, তবে সন্ধ্যা ৭টার পর ফায়ারফ্লাই দেখার জন্য সেরা সময়। মনে রাখবেন, রাতের সময় এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে আসবেন, যাতে আপনি পুরো অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন। আপনার ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনের ক্যামেরা প্রস্তুত রাখতে ভুলবেন না, কারণ এই দৃশ্যগুলি আপনার স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।
পুত্রজায়া ফায়ারফ্লাই পার্ক একটি মায়াবী স্থান যা আপনার ভ্রমণের একটি বিশেষ অংশ হতে পারে। এখানে আসা মানে প্রকৃতির সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক স্থাপন করা এবং জোনাকির উজ্জ্বল আলোয় এক সন্ধ্যা কাটানো।