brand
Home
>
Japan
>
Shitenno-ji Temple (四天王寺)

Overview

শিতেন্নো-জি মন্দির (四天王寺) হচ্ছে জাপানের অন্যতম প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির, যা ওসাকা প্রিফেকচারে অবস্থিত। এই মন্দিরের নির্মাণের সময় ছিল ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দ, যা জাপানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রথম প্রচারক শোতোকু টাইশির নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি জাপানের একটি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র, যেখানে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী আসে। শিতেন্নো-জি মন্দিরের স্থাপত্য এবং ইতিহাস বিদেশী পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
মন্দিরটি একটি বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে রয়েছে বিভিন্ন গঠন এবং স্মৃতিস্তম্ভ। মন্দিরের প্রধান ভবন, টোড়ো (五重塔) বা পাঁচতলা স্তূপ, এর উচ্চতা ৩২ মিটার এবং এটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। এটি জাপানি স্থাপত্যের একটি নিদর্শন, যা প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যশিল্পের মূল বৈশিষ্ট্যাবলী ধারণ করে। স্তূপটি সাধারণত চারটি স্তরের ওপর নির্মিত, প্রতিটি স্তরের সঠিকভাবে সাজানো হয়েছে এবং প্রতিটি স্তরের একটি বিশেষ অঙ্কন রয়েছে।
এছাড়া, সাংস্কৃতিক উদ্যান এবং শান্তি বাগানও পরিদর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। এখানে আপনি প্রকৃতির মাঝে বসে কিছু সময় কাটাতে পারবেন, যেখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং গাছপালা। মন্দিরের প্রাঙ্গণে একটি বৌদ্ধ প্যাগোডা রয়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান এবং এখানে নিয়মিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
শিতেন্নো-জি মন্দিরের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে। এটি প্রাচীন জাপানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের কেন্দ্র ছিল এবং বহু বছর ধরে এটি বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব এবং অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যা পর্যটকদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা।
কিভাবে যাবেন: ওসাকায় পৌঁছানোর পর, আপনি সহজেই মন্দিরে যেতে পারেন। শহরের কেন্দ্র থেকে মেট্রো বা বাসের মাধ্যমে শিতেন্নো-জি মন্দিরে পৌঁছানো সম্ভব। মন্দিরের কাছাকাছি একটি স্টেশনও রয়েছে, যা আপনাকে সহজে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
দর্শনীয় সময়: মন্দিরটি প্রতিদিন খোলা থাকে এবং এখানে প্রবেশের জন্য একটি সামান্য ফি রয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
পর্যটক টিপস: মন্দিরের সন্নিকটে থাকা স্থানীয় দোকানগুলিতে জাপানি সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়া, এখানে কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং স্মারক দ্রব্যও কিনতে পারবেন।
শিতেন্নো-জি মন্দিরের সফর আপনার জাপান ভ্রমণকে আরো স্মরণীয় করে তুলবে। এর প্রাচীন স্থাপত্য, ধর্মীয় গুরুত্ব এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনাকে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেবে।