Jerónimos Monastery (Mosteiro dos Jerónimos)
Overview
জেরোনিমোস মঠ (মোস্টেইরো দোস জেরোনিমোস) লিসবনে একটি অসাধারণ স্থাপনা যা পর্তুগালের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য প্রতীক। এটি ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ছিল সমুদ্রযাত্রার সময়ে পর্তুগিজ নাবিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মঠটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এটি গথিক ও ম্যানুয়েল স্টাইলের চমৎকার সংমিশ্রণ।
মঠের প্রবেশদ্বারে পা রাখতেই আপনি বিশালাকার পাথরের গঠন এবং সুন্দর খোদাই করা কাজ দেখতে পাবেন। মঠের প্রধান গেটটি কৌশলগতভাবে নির্মিত, যেখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সাগরের থিমে খোদাই করা হয়েছে। এছাড়াও, মঠের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে আপনাকে মুগ্ধ করবে এর উজ্জ্বল গম্বুজ এবং সাদা পাথরের কাজ।
মঠের ভিতরে দর্শনার্থীরা বিশাল গ্যালারি, প্রার্থনা হল এবং নানা ধর্মীয় স্থান দেখতে পাবেন। এই স্থানে মহান পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামার সমাধি এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের কবরও রয়েছে। মঠের অন্দরসজ্জা এবং শিল্পকর্মগুলি পর্তুগালের বৃহৎ সমুদ্রযাত্রা ও উপনিবেশ স্থাপনের ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়।
এছাড়াও, জেরোনিমোস মঠের পাশে অবস্থিত দ্য বোটানিকাল গার্ডেন এবং টেমস নদীর তীরবর্তী এলাকা দর্শকদের জন্য একটি অতিরিক্ত আকর্ষণ। এখানে বেড়াতে এসে আপনি পুরো এলাকা থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
মঠটি সব সময়ই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তবে সপ্তাহান্তে বিশেষ করে ছুটির দিনে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় থাকে। তাই পরিকল্পনা করে আসা বুদ্ধিমানের কাজ। লিসবনের অন্য দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন বেলেম টাওয়ার এবং জাতীয় মিউজিয়াম অব অ্যান্টিক আর্টের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় আপনি কেবল জেরোনিমোস মঠই নয়, বরং পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন।
অবশেষে, জেরোনিমোস মঠ পর্তুগালের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক নিদর্শন, যা আপনার ভ্রমণের স্মৃতিতে একটি বিশেষ স্থান দখল করবে। আপনার ভ্রমণ যদি পর্তুগালে হয়, তবে এই মঠটি আপনার তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত।