Palace of the Parliament (Palatul Parlamentului)
Overview
প্যালেস অব দ্য পার্লামেন্ট (পালাতুল প্যার্লামেন্টুলui)
বুখারেস্টের কেন্দ্রে অবস্থিত প্যালেস অব দ্য পার্লামেন্ট রোমানিয়ার একটি চিত্তাকর্ষক এবং ঐতিহাসিক landmark। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রশাসনিক ভবন এবং ইউরোপের সবচেয়ে ভারী ভবন হিসেবে পরিচিত। এই ভবনটি নির্মাণের জন্য প্রায় ১৩,০০০ শ্রমিক এবং ২০,০০০ ডিজাইনার কাজ করেছিলেন। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে এবং ১৯৯৭ সালে সম্পন্ন হয়। প্যালেসটি নিকোলায় সিয়উশেস্কুর শাসনামলে তৈরি হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল রোমানিয়ার রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ করা।
প্যালেসটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত বিশাল এবং প্রভাবশালী। এটি ৩৩০,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এতে ১,১০০ কক্ষ রয়েছে। ভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা অত্যন্ত মার্জিত, যেখানে ব্যবহৃত হয়েছে মার্বেল, সোনা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক পাথর। প্যালেসটি বিভিন্ন কক্ষে বিভক্ত, যেমন সেমিনার হল, কনফারেন্স রুম এবং বিশাল টাউন হল। প্রতিটি কক্ষের ডিজাইন এবং স্থাপত্য বিশেষভাবে মনোমুগ্ধকর, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
সাংস্কৃতিক ও পর্যটন আকর্ষণ
প্যালেস অব দ্য পার্লামেন্ট শুধুমাত্র একটি প্রশাসনিক ভবন নয়, বরং এটি রোমানিয়ার সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের একটি প্রতীক। এটি এখন একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত, যেখানে দর্শকরা guided tour-এর মাধ্যমে ভবনের অভ্যন্তরীণ অংশগুলি দেখতে পারেন। এই tours-এ প্রবেশের জন্য প্রাথমিকভাবে বুকিং করা প্রয়োজন এবং এটি ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান এবং রোমানিয়ান ভাষায় উপলব্ধ।
এছাড়াও, প্যালেসের আশপাশে রয়েছে কিছু আকর্ষণীয় স্থান, যেমন অভিজাত পিয়াতে রেভলিউশিয় এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি। এই স্থানগুলি দর্শকদের জন্য আরও কিছু দারুণ অভিজ্ঞতা দিতে পারে। প্যালেসটির পাশেই অবস্থিত বিভিন্ন ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁয় বসে স্থানীয় খাবার উপভোগ করতে পারেন, যা রোমানিয়ার সংস্কৃতির আরেকটি দিক তুলে ধরে।
প্যালেসের দর্শনীয়তা ও পরিদর্শনের সময়সূচী
ভবনটি সপ্তাহে ৭ দিন খোলা থাকে, তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রবেশ করতে হয়। সাধারণত, সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত Tours উপলব্ধ থাকে, তবে বিশেষ অনুষ্ঠান ও সরকারি কার্যক্রমের কারণে সময়সূচী পরিবর্তন হতে পারে। তাই আগে থেকে তথ্য যাচাই করা ভালো।
প্যালেস অব দ্য পার্লামেন্ট রোমানিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এটি শুধু একটি নির্মাণ নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক প্রতীক, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং জনগণের সংগ্রামের গল্প বলছে। যে কেউ এই স্থানে আসবেন, তারা এখানে এসে রোমানিয়ার অতীতের গুণাবলি এবং বর্তমানের চমক একটি অভিজ্ঞতা পাবেন।