brand
Home
>
Jordan
>
King Abdullah Mosque (مسجد الملك عبد الله)

King Abdullah Mosque (مسجد الملك عبد الله)

Main image
Additional image 1
Additional image 2
See all photos

Overview

কিং আবদুল্লাহ মসজিদ (مسجد الملك عبد الله) জর্ডানের রাজধানী আম্মানের একটি অত্যাশ্চর্য ধর্মীয় স্থান এবং সাংস্কৃতিক প্রতীক। এটি ১৯৮৯ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি জর্ডানের জাতীয় পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে জর্ডানের প্রথম রাজা কিং আবদুল্লাহের নামে, যিনি দেশটির প্রতিষ্ঠাতা। মসজিদটি মুসলিমদের প্রার্থনা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং এটি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি প্রতীক।
মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং এর গম্বুজটি বিশেষভাবে নজরকাড়া। গম্বুজটি ৩০ মিটার উচ্চ এবং এটি নীল এবং সাদা টাইলসে সজ্জিত, যা এটি আরও মহানন্দিত করে তোলে। মসজিদটির বাইরের অংশে অসাধারণ আরবিক নকশা এবং সুন্দর কলigraphy রয়েছে, যা মুসলিম শিল্পের একটি চমৎকার উদাহরণ। ভেতরের অংশও সমৃদ্ধ এবং প্রশস্ত, যেখানে হাজারো মানুষ একত্রে প্রার্থনা করতে পারেন।
পর্যটকদের জন্য সুবিধা হিসেবে, কিং আবদুল্লাহ মসজিদে প্রবেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সাধারণত এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। তবে, মুসলিম এবং অমুসলিমদের জন্য কিছু নিয়মাবলী রয়েছে, যেমন সঠিক পোশাক পরিধান করা। মহিলাদের জন্য মাথা ঢেকে রাখা এবং পুরুষদের জন্য সাধারণত লম্বা প্যান্ট পরা আবশ্যক।
মসজিদটি আম্মানের কেন্দ্রে অবস্থিত, ফলে এটি সহজেই পৌঁছানো যায়। এর সংলগ্ন এলাকায় আরও কিছু দর্শনীয় জায়গা রয়েছে, যেমন রোমান থিয়েটার এবং জর্ডান ন্যাশনাল মিউজিয়াম। তাই, আপনি যদি কিং আবদুল্লাহ মসজিদ ভ্রমণ করেন, তাহলে আশেপাশের অন্যান্য সাংস্কৃতিক স্থানগুলোও ঘুরে দেখতে ভুলবেন না।
এছাড়াও, মসজিদটি একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রদান করে, যেখানে আপনি স্থানীয় মুসলমানদের প্রার্থনা করতে এবং তাদের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এটি একটি সুন্দর সুযোগ, যা আপনাকে জর্ডানের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনের সাথে পরিচিত করার পাশাপাশি, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সাহায্য করবে।
যদি আপনি জর্ডান ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাহলে কিং আবদুল্লাহ মসজিদ আপনার তালিকার একটি অবশ্যম্ভাবী স্থান হওয়া উচিত। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা যা আপনাকে জর্ডানের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের গভীরে নিয়ে যাবে।